বৃটিশ রাজ পরিবারের বর্ণবাদী চেহারা উন্মোচন
ইরানের ইতিবাচক প্রস্তাবের অপেক্ষায় আমেরিকা
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান মুখপাত্র নেড প্রাইস ওয়াশিংটনে তার কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে গতকাল সোমবার ৮ মার্চ বলেন, আমেরিকা ইরানের মাঝে ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা দেয়াল ভেঙে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বাইডেন প্রশাসন ইরান সরকারের গঠনমূলক ও ইতিবাচক প্রস্তাবের অপেক্ষায় রয়েছে। ইরান সম্প্রতি নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রে নতুন করে সরঞ্জাম স্থাপনের বিষয়ে নেড প্রাইস বলেন, ইরানের এ ধরনের কার্যকলাপ বরাবরই আমাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রাখছে। আমরা এবার এর নিরসন চাই।
সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স এক খবরে প্রকাশ করেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি স্বাক্ষরিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরান নতুন করে নাতাঞ্জ শহরের পরমাণু কেন্দ্রে নতুন করে কর্মসুচি জোরদার ভাবে চালু করেছে।
মার্কিন এ কর্মকর্তা আরো বলেন, ইরানের এই পরমাণু কর্মসুচি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেচে যে তা কূটনৈতিক ভাবে সমাধান করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তিনি ইরানের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করছেন।
বৃটিশ রাজ পরিবারের বর্ণবাদী চেহারা উন্মোচন
বৃটিশ রাজবধু প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান মার্কেল বৃটিশ রাজ পরিবারের বর্ণবাদী আচরণ সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার অনাগত সন্তানের গায়ের রং কী হবে তা নিয়ে রাজ পরিবারের সদস্যরা বর্ণবাদী আচরণ করেছে। মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস নেটওয়ার্কের অপরাহ উইনফ্রে শো-তে এক সাক্ষাৎকারে মেগান মার্কেল একথা বলেন।
বৃটিশ রাজবধু মেগান মার্কেল আরো বলেন, বৃটিশ রাজতন্ত্রের অন্দরে ব্যাপক বর্ণবাদ লালন করা হচ্ছে। মানসিক সংকটের সময় আমাকে সামান্য একটু সাহায্যও করেননি কোনো রাজ পরিবার সদস্য। এমনও বলা হয়েছে যে, আমাদের অনাগত সন্তানের গায়ের রং নির্ভর করবে যে আমার সন্তান রাজ পরিবারের সদস্য হবার যোগ্য হবে কীনা। সেই গর্ভকালীন সময়ে আমার ডিপ্রেশন এমন মাত্রায় পৌঁছে ছিলো যে, মনে হচ্ছিলো আমি আর বাঁচবো না। আমি ডিপ্রেশনের কারণে আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে চেয়েছিলাম।
এসব ঘটনাবলীর জের ধরে রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারি ও রাজবধু মেগান মার্কেল রাজকীয় দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ বা পদত্যাগ করেছেন। মেগান মার্কেল শ্বেতাঙ্গ বাবা ও কৃষ্ণাঙ্গ মায়ের সন্তান। মেগানের অন্তসত্বা কালে রাজ পরিবার থেকে কোনো নিরাপত্তা দেয়া হয়নি। বৃটেনে কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে রাজ পরিবারসহ রাষ্ট্রীয় ভাবে এমন লাখো লাখো অবমাননাকর ঘটনা ঘটে থাকে।